বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

আকাশছোঁয়া কল্পনা করতে শেখ

কল্পনা করা মানুষের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য   
মানুষের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মানুষ যেকোনো কিছুকে নিয়ে কল্পনা করতে পারে। মানুষ শূন্য থেকে অসীম পর্যন্ত কল্পনা করতে পারে। তার কল্পনা শক্তির বলে পৃথিবীর রূপ - রীতির মহাপরিবর্তন আনতে পারে। মানুষের কল্পনা শক্তির কারনেই আমরা পেয়েছি এক নতুন পরিবেশ।  আসতে পেরেছি টেকনোলজির এক অভিনব রাজ্যে। 

মানুষ যেগুলো দেখে সেগুলোকে নিয়েই কল্পনা করে
আমরা আমাদের পরিবেশে যা কিছু দেখে থাকি,  যা কিছু শুনে থাকি কেবলমাত্র সেগুলোকেই কল্পনা করতে পারি। আমরা গাছপালা দেখেছি বলে কল্পলোকে গাছপালা দেখি।  কেউ কেউ গাছের পাতাকে লাল - কমলা রঙেও সাজিয়ে তুলি। আমরা মোবাইল ফোন দেখেছি বলে,  কল্পলোকে মোবাইল ফোন দেখি।  কেউ কেউ কল্পলোকে মোবাইকে আলাদা রূপে সাজাই।  নতুন কোন ফিচার যুক্ত করে দেই।  কেউ কেউ সেই নতুন ফিচার যুক্ত কল্পলোকের মোবাইলকে বাস্তবে তৈরি করার জন্য লেগেপরে থাকি।  অনেক পরিশ্রম করে সফলও হই তারসাথে টেকনোলজি জগতেও কিছুটা আলোড়ন তুলি।  আমরা স্বাভাবিক মানুষেরা অদেখাকে কল্পলোকে কল্পনা করতে পারি না।  পারি না অদেখাকে নতুনত্ব দিতে।  কিন্তু আমাদের পরিবেশে একদল লোক রয়েছে যারা সত্যি সত্যিই পারে অদেখাকে দেখতে।  পারে অদেখাকে রূপ - রঙে সাজাতে।  এরাই হচ্ছেন বিশ্বের সফলকাম ব্যাক্তিবর্গ। 

সফল ব্যাক্তিরা কল্পনায় অদেখাকে দেখে
আমরা যদি ভেবে দেখি তাহলে দেখতে পাবো সবকিছুরই জন্ম হয়েছে কল্পনায়।  আইডিয়া আসে কল্পনা থেকে।  বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন সম্পূর্ণ কল্পনায়। এক সময় কম্পিউটার চালানোর জন্য সবারই কোডিং জ্ঞান থাকতে হতো।  সেই সময় উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস কল্পনা করেছিলেন এমন এক ওএস এর যেটা ব্যাবহারী কোডিং জ্ঞান ছাড়াই চালাতে পারবে। অতৎপর জ্ঞান - বুদ্ধি ও পরিশ্রম করে চার বন্ধু তৈরি করেছিলেন উইন্ডোজ।  বিশ্ব যখন বাটনওয়ালা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যাস্ত তখন স্টিভ জবস স্ক্রিনটাচ মোবাইল ফোনের কল্পনা করেছিলেন।  এবং শেষে পরিশ্রম করে সেটাকে বাজারেও নিয়ে আসেন। এরকম অনেক ব্যাক্তির উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাদের উদাহরণ থেকে আমরা একটা জ্ঞানই পেতে পারি। তারা অদেখাকে দেখতে পারে। অদেখাকে দেখতে ভালবেসে।

আমাদের কল্পনা শক্তি বাড়াতে হবে 
যাদের কল্পনা শক্তি পৃথিবীকে পালটে দিয়েছে তারাও আমাদের মতো রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। শুধু তাদের কল্পনা শক্তি আমাদের থেকে প্রখর। তারা একটা বিষয় নিয়ে অনেকদূর কল্পনা করতে পারে। কল্পনায় আবিষ্কার করতে পারে নিত্যনতুন আইডিয়া। আমরা যা দেখি তা নিয়েই শুধু কল্পনা করি।  আমরা নতুনকে নিয়ে কল্পনা করি না।  চেষ্টা করি না শূন্য থেকে অসীমে যাওয়ার। আমাদের কল্পনা শক্তি বাড়াতে হবে। নিয়মিত কল্পনার চর্চা করতে হবে। সবার আগে কল্পনাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আইনস্টাইন বলেছেন “ I am enough of an artist to draw freely upon my imagination. Imagination is more important than knowledge. Knowledge is limited. Imagination encircles the world" . আমাদের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান নিয়ে আকাশছোঁয়া কল্পনা করতে হবে। কল্পনা করতে হবে এক অনন্য উপাদানকে নিয়ে যা পৃথিবীতে আলোড়ন তৈরি করতে পারবে। আমরা মানুষেরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারি।  এখানে সবকিছুই সম্ভব।  শুধু কল্পনা -ই নয়,  আমাদের পরিশ্রমও যথেষ্ট করতে হবে । কল্পনায় আকা টেকনোলজির জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে যাতে সেটা বাস্তবে নিয়ে আসা যায়।  মনে রাখতে হবে , পৃথিবী সাজে বড়দের কল্পনার মাধ্যমে।  

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন